ওশান নিউজ প্রতিবেদক : ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন; নাগরিকের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের সঙ্গে ভূমির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই ভূমি প্রশাসনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে সরকারের অন্যতম
অগ্রাধিকার হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত,জনবান্ধব ও
প্রযুক্তিনির্ভর ভূমিসেবা নিশ্চিত করা। ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল রূপান্তরের
মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এখন ঘরে বসেই ভূমিসেবা পাচ্ছে।
এই পরিবর্তন শুধু জনগণের সুবিধা বাড়ায়নি, বরং দুর্নীতির
সুযোগও কমিয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সততা,পেশাদারিত্ব ও দায়বদ্ধতা এই ব্যবস্থার মূলভিত্তি।
আজ ২০ অক্টোবর (সোমবার) রাজধানীর বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সেমিনার কক্ষে ‘মানোন্নীত অটোমেডেট ভূমিসেবা সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিভাগের চারটি জেলার(ফেনি,চাঁদপুর,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও কুমিল্লা) কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের’ ‘’ট্রেনিং অফ ট্রেইনার্স (টিওটি)’’প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন;
ভূমি প্রশাসনে যারা এই সেবার কাজটি করেন তারা যদি ন্যায়নিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন
করেন, তবে ভূমি
অফিসে অনিয়ম, ঘুষ, দালালচক্র ও হয়রানি
উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। দুর্নীতিমুক্ত ভূমিসেবা গড়ে তুলতে প্রশাসনকে হতে হবে
সেবক, প্রহরী ও
সংস্কারক এই তিন ভূমিকায় একসাথে। বর্তমান বিশ্বে প্রশাসনিক কার্যক্রমে
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনাও তার ব্যতিক্রম নয়। ভূমিসেবার প্রতিটি ধাপে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা চালুর মাধ্যমে প্রশাসন একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এতে নাগরিক সেবায় গতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে।
সর্বোপরি, অটোমেটেড ভূমিসেবা
প্রশাসনের সেবামুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর শাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রশাসনের
নিষ্ঠা, দক্ষতা ও
নেতৃত্বের ফলে ভূমি ব্যবস্থাপনা এখন আধুনিক,
স্বচ্ছ ও জনবান্ধব হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বাংলাদেশের
ভূমি প্রশাসন বিশ্বের অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রাণ। জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। কিন্তু এই প্রক্রিয়া তখনই কার্যকর হয়, যখন নির্বাচন হয় অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছভাবে। আর এই সুষ্ঠ নির্বাচনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব পালন করে প্রশাসন।
নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বই নির্বাচনের
বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত মত বা রাজনৈতিক
পক্ষপাত যেন দায়িত্ব পালনে প্রভাব না ফেলে,
সে বিষয়ে কঠোর সতর্কতা প্রয়োজন এর কথা উল্লেখ করেন; সিনিয়র সচিব সালেহ
আহমেদ।
সামনে নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এদেশের জনগণ দীর্ঘ সময় ধরে ভোট দিতে পারেনি। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন,কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই। তাই এমন একটা ভোট উপহার দিতে হবে যা ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। এবং আপনাদের দ্বারাই সুষ্ঠ সুন্দর ও আবাদ নির্বাচনের পরিবেশ উপহার দেয়া সম্ভব।
সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও তৎপরতা বজায় রেখে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্ব। একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের সফলতা অনেকাংশেই প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল।
নিরপেক্ষতা, সততা, দক্ষতা ও
দায়িত্ববোধের সমন্বয়ে প্রশাসন যদি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তবে জনগণের
ভোটাধিকার সুরক্ষিত হবে, গণতন্ত্র
হবে আরও শক্তিশালী, এবং
রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হবে আইনের শাসন ও জনআস্থা।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন মো: পারভেজ হাসান,বিপিএএ,প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব),ভুমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প,ভূমি
মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন