ওশান নিউজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইসলামী
ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন,
২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছেন, আমাদের ছাত্র
শিবিরের ৬ জনসহ মোট সারাদেশে ১৮ জনকে হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ। তাদেরকে রাষ্ট্র
থেকে ক্ষতিপূরণ ও শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস
ক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর
পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের শাহাদাতের পথ মাড়িয়ে আজকে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। হত্যা-গুম, খুনমুক্ত একটি বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আমরা আশা করব ভবিষ্যতে কেউ হাসিনার মতো হয়ে উঠার চেষ্টা করবে না। খুনি হাসিনার মতো মানসিকতাকে কেউ আর পোষণ করবে না।
যদি করে থাকেন, তাহলে হাসিনার চেয়ে
ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি হাসিনার মতো মানসিকতাকে লালন করে বাংলাদেশকে পরিচালনার চেষ্টা করে, তাহলে সেটা সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
আমরা বাংলাদেশে ন্যায় এবং ইনসাফ ব্যতিত কোনো ফ্যাসিবাদ
কায়েম হতে দেবো না।
শিবির সভাপতি বলেন, আমি আশা করব একটি
সংস্কৃতির পরিবর্তন ও রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই প্রজন্ম যে
প্রত্যাশা করে, যেমন
বাংলাদেশ এবং রাজনীতি দেখতে চায়,
আগামীতে যারা রাজনীতি করবেন,
তাদেরকে প্রজন্মের চিন্তার সঙ্গে বোঝাপড়া করেই রাজনীতি করতে হবে।
এসময় তিনি দুটি দাবি তুলে ধরেন, যেহেতু জুলাই-আগস্টকে কেন্দ্র করে ট্রাইবুনাল গঠন হয়েছে, যদিও বিচারগুলো করতে একটু দেরি হচ্ছে, তবে আমরা প্রত্যাশা করি ট্রাইবুনালে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বিচার কাজ সম্পন্ন করবেন।
এছাড়াও (২০০৬ সাল) ২৮ অক্টোবরের মধ্য দিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পরবর্তী প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল, এটার মামলা হয়েছিল এবং চার্জশিটও হয়েছিল।
কিন্তু হাসিনা ক্ষমতায় এসে সবগুলো
মামলাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। আমরা দাবি করছি, এই মামলার ট্রাইবুনালে নতুন করে আবার চালু করে খুনিদের
যথাযথ বিচার করতে হবে।
এই হত্যাকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছেন, আমাদের ছাত্র
শিবিরের ৬ জনসহ মোট সারাদেশে ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই ১৮ জনকে রাষ্ট্র থেকে
ক্ষতিপূরণ ও শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
চিত্র প্রদর্শনীতে এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি এবং ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর খুনি হাসিনা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করেছিল। লগি বৈঠা নিয়ে মানুষ হত্যা করে নৃত্য করার মতো নৃশংসতা করেছে।
কালচারাল
ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে এসবের বৈধতা তৈরি করেছিল।
গত ১৬ বছরে গুম হওয়া ছাত্র শিবিরের
নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, হাজারো নেতৃবৃন্দকে
হত্যা, নির্যাতন ও
গুম করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে
দেওয়া হোক।
এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম
মাসুদসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন