
ক্রীড়া প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক নারী কাবাডি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। ১৬ নভেম্বর রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রফি উন্মোচন করেন।
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই শুরু হলো এবারের নারী কাবাডি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক কাউন্টডাউন। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপ, যা আগামী ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রফি উন্মোচন শুধু টুর্নামেন্টকে স্বাগত জানানোরই অংশ ছিল না, এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারী ক্রীড়া আয়োজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের
নেতৃত্বও তুলে ধরেছে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ঢাকায় বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে একটি বড় দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি জানান, সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অনুপ্রেরণাদায়ী ও বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
প্রধান উপদেষ্টা আসন্ন সব দলকে স্বাগত জানান এবং আয়োজন সফল করতে যারা কাজ করছেন- সংগঠক, অ্যাথলেট থেকে শুরু করে অংশীদার- সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
৮ দিনের এই টুর্নামেন্টে শীর্ষ দেশগুলোর নারী কাবাডি খেলোয়াড়রা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, থাকবে প্রতিযোগিতা, সংস্কৃতির বিনিময় এবং বিশ্বমঞ্চে ক্রীড়াসৌহার্দ্যের অনন্য প্রদর্শনী।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন জানিয়েছে, প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। দলগুলোর আবাসন, নিরাপত্তা, লজিস্টিকস, মাঠ পরিচালনা থেকে দর্শক উপস্থিতি- সব ক্ষেত্রেই জোর প্রস্তুতি চলছে।
১৭ নভেম্বর উদ্বোধন হবে আসরের, প্রতিদিনই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল ২৪ নভেম্বর। এবারের নারী কাবাডি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, ইরান, ভারত, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও জানজিবার।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, সরকার নারী ক্রীড়াবিদদের এগিয়ে নিতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।
নারী অ্যাথলেটরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একের পর এক সফলতা এনে দিচ্ছেন, আর সরকারও তাঁদের সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, নারী ক্রীড়াবিদদের সাফল্য এখন দেশের গর্ব, এটি নতুন প্রজন্মের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা।