ওশান নিউজ প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বা পে-স্কেল প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে পে-কমিশন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বেতন বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন তাদের প্রস্তাব কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন তাদের প্রস্তাবে কয়েকটি বড় পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে: ১. বর্তমানে সর্বনিম্ন বেতন (গ্রেড ২০) ৮,২৫০ টাকা।
তারা এটি বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। ২. গ্রেড সংখ্যা হ্রাস: বর্তমানে থাকা ২০টি গ্রেডের সংখ্যা কমিয়ে ১২টি করার সুপারিশ করা হয়েছে।
৩. বেতন বৈষম্য হ্রাস: বর্তমানে বেতন বৈষম্য রয়েছে ১:১০ অনুপাতে, যা কমিয়ে ১:৪ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আব্দুল মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পে-স্কেল নির্ধারিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০২০ ও ২০২৫ সালে তা হয়নি।
ফলে কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরার সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, পে-কমিশন সম্ভবত আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া ইঙ্গিত অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করা হয় এবং ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট
সূত্র অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই
এই বেতন কাঠামো কার্যকর হতে পারে এবং সরকারি চাকরিজীবীরা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস
থেকেই নতুন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা পেতে পারেন।
মন্তব্য করুন